প্রেতাত্মাদের স্বভাব ( প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিস্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী )


ভূতের ব্যাপারে পৃথিবীর মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত। ভূত নেই এবং আছে। একটি রহস্যময় জিনিস।কিন্তু যারা বলে ভূত নেই তারাও ভূত ভয় করে।যদি তারা ভূত না হয় তা হলে কি তারা প্রেতাত্মা? 
প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিস্টরা জানাচ্ছেন প্রেতাত্মারা আছেন এবং কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে মানুষকে আকর্ষিত করেন তাও বলেছেন সম্পূর্ণ পরীক্ষার মাধ্যমে।
প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিস্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী 

মানুষের স্বভাব প্রেতাত্মাদের ভালমতোই জানা। কারণ, তারা কোনও এক সময়ে মানুষ ছিল। আবার এমনটাও হতে পারে, বিদেহী আত্মারা সবসময়েই ইহজগতের সঙ্গে সংযোগ করতে চায়। তাই জীবিত জগতের রকম-সকম তাদের ভালভাবেই আয়ত্তে রাখতে হয়। কিন্তু মানুষের পক্ষে কি প্রেতলোকের খবর রাখা সম্ভব? বেশিরভাগ মানুষই এমন প্রশ্নের উত্তরে হেসে উঠবেন। আবার এমন কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা মোটেই হাসবেন না। বরং তাঁরা আগ বাড়িয়ে বলবেন— প্রেতলোকের হাল জানাতে তো আমরাই রয়েছি।
প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিস্টরা দাবি করেন, তাঁরা প্রেতাত্মাদের স্বভাব অনুধাবন করতে পারেন। তাঁদের মতে প্রেতেদেরও আচরণে কয়েকটা প্যাটার্ন অথবা কমন বিষয় রয়েছে। দেখা যেতে পারে তার কয়েকটিকে।
  1. • যে আত্মা হানা দেয়, তার আসল উদ্দেশ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
  2. • প্রেতাত্মাদের কোনও সময়জ্ঞান থাকে না।
  3. • প্রেতেরা বিশ্বাস করতে চায় না, তারা মৃত। তাদের ধারণা তারা একটা বিশ্রী দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকে রয়েছে।
  4. • প্রেতাত্মারা সবসময়েই কৌতূহলী।
  5. • প্রেতাত্মাদের গন্ধের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। বিশেষ গন্ধকে তারা পছন্দ করে।
  6. • প্রেতেরা মূলত রাত্রেই বেশি সক্রিয় হয়। তবে, বাড়ি নিঃঝুম হলেও তারা ক্রিয়াশীল হয়।
  7. • বাড়িতে প্রেতর উপদ্রব বেশিরভাগ সময়ে শিশুদের কেন্দ্র করে ঘটে।
  8. • প্রেতেদের অনেক সময়েই জীবিতাবস্থার আবেগ-অনুভূতি বজায় থাকে। বিশেষ করে মৃত্যু-মুহূর্তের আবেগ তাদের ভালমতোই মনে থাকে।
  9. • পশু ও শিশুরাই বেশি পরিমাণে ভুত দেখতে পারে।
  10. • প্রেতেদের নষ্টামির পিছনে কাজ করে একঘেয়ে বোধ করা।

No comments:

Powered by Blogger.